জেল থেকে জামিনে এসে আবারো বেপরোয়া ছিনতাইকারি কাজিমুদ্দিন

জেল থেকে জামিনে এসে আবারো বেপরোয়া ছিনতাইকারি কাজিমুদ্দিন

গোদাগাড়ী প্রতিনিধিঃ রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল ইউপির এনায়েতুল্লাপুর গ্রামের মৃত নকিমুদ্দিন পাইনার ছেলে নজরুল (কাজিমুদ্দিন) জেল থেকে জামিনে বের হয়ে আবারও বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে।

পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জামিন হয়ে বেরিয়ে এসেই ২৫ শে জুন রাতে এনায়েতুল্লাপুর গ্রামের”মহানন্দা নিউজের প্রকাশক এবং দৈনিক উপচার পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার ওয়াসিম আল-রাজির ৩ বছরের ছেলে আব্দুল্লাহকে অপহারনের হুমকি সহ ছিনতাই মামলার বাদিনী হাবিবা বেগম এবং তার ছেলে রুবেলকেও দেখে নেওয়ার হুমকি দেন অভিযুক্ত কাজিমুদ্দিন। এতে করে এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষ চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।অনুসন্ধানে জানা যায়, কাজিমুদ্দিন দীর্ঘ ১০ বছর বা তারও অধিক সময়
থেকে ছিনতাই এবং ডাকাতি কাজের সাথে জড়িত।

তার বিরুদ্ধে ২০০০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত গোদাগাড়ী থানা,কাকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র সহ ইউনিয়ন পরিষদে একাধিক মামলা এবং অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে বহুবার কারাভোগ করেছে সে।

এলাকাবাসী জানায়, ২০১৯ ইং সনের ফেব্রুয়ারি মাসে একই গ্রামের মৃত পিয়ারুলের ছেলে রুবেলকে তিশলাই পাতিপুকুর নামক স্থানে বেধড়ক মারপিট করে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্ত কাজিমুদ্দিন।উক্ত ঘটনায় আহত রুবেলের মা হাবিবা বেগম বাদি

হয়ে সেদিনই কাকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর শিশির পাল সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে কাজিমুদ্দিনকে আটক করে ১ লাখ সাড়ে ৭৩ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে গেলে অভিযুক্ত কাজিমুদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বিকার করলে মামলা রুজু করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন থানা পুলিশ।

উপরিক্ত ঘটনা প্রকাশ হলে ধিরে ধিরে কাজিমুদ্দিনের থলের বিড়াল বেরিয়ে আসতে থাকে।এলাকা ঘূরে জানা যায়,মান্ডইল রামদাসপাড়ার মুরগী ব্যাবসায়ী ধীরেনকে মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নেওয়া সহ ভূমিদস্যুতা,ষ্ট্যাম্পে জাল স্বাক্ষর করে গ্রামের সহজ

সরল মানুষকে বেকায়দায় ফেলে টাকা আদায় করার মত অপরাধের সাথে জড়িত কাজিমুদ্দিন।তার নিজ গ্রামের লোকজন এই প্রতিবেদককে জানান বিগত ৩ বছর পূর্বে অভিযুক্ত কাজিমুদ্দিন একই গ্রামের গিয়াসউদ্দিনের স্বাক্ষর জাল করে তার বসতবাড়ি দখল

করে বসবাস করতে থাকেন।বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় অভিযুক্ত কাজিমুদ্দিনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানিমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ হলে সুশিল সমাজে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। শেষমেষ বাড়ির সকল মালামাল নিয়ে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হন কাজিমুদ্দিন। তার একের পর এক অপরাধে

কে শক্তি যোগাচ্ছে এমন প্রশ্নে গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যাক্তিগন জানান,স্থানীয় মেম্বার তাকে সব অপরাধে সাহায্য করেন।শুধু তাই ই নয়,গ্রামের কোন লোক কোন বুদ্ধি পরামর্শের জন্য গেলে তাকে মামলা করার বুদ্ধি দেই ওই স্থানীয় মেম্বার।গত ২৫ শে জুন

অভিযুক্ত কাজিমুদ্দিন জামিনে বের হয়ে এলে এলাকাবাসী মাঝে আবারো আতংক সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত কাজিমুদ্দিনের ফোন ফোন দিলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন বন্ধ করে দেন কাজিমুদ্দিন।

এলাকার নিরীহ সহজ সরল মানুষ অভিযুক্ত কাজিমুদ্দিনের নানান রকম হয়রানিতে অতিষ্ঠ হয়ে আইন শৃংখলা বাহিনী সহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট উক্ত বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে আবেদন জানিয়েছেন।

এবিষয়ে ৪ নং রিশিকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম (টুলু) জানান,আইনের উর্ধে কেউ নয়।অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীরের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ থাকার কারনে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

মতিহার বার্তা ডট কম-২৬ জুন ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply